সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক হতে পুরুষদের পাশাপাশি এখন থেকে নারী প্রার্থীদেরও শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক পাশ হতে হবে। বিগত দিনে শুধু মাত্র পুরুষদের কে স্নাতক পাশ লাগত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আবেদন করতে ।শেখ হাছিনা সরকার পুনরায় ২০১৯ সালে সরকার গঠন করলে ও শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্য নুরুল হক এর থেকে চলে আসে ড: দিপুমনি হাতে।নতুন শিক্ষামন্ত্রী ২০১৯ সালে এই দায়িত্য হাতে পেয়েই শিক্ষা ক্ষেত্রের কিছু পরিবর্তন আনে।তার মধ্যে তিনি ঘোষনা করেন নারী-পুরুষ উভয়কেই এখন প্রথামিকে আবেদন করতে নূন্যতম যোগ্যতা স্নাতক হতে হবে।স্নাতক পাশ ছাড়া নারীরাও পারবেনা প্রাথমিক শিক্ষক হতে।
পাশাপাশি প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক পদে আবেদনের বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ২১ থেকে ৩০ বছর ।আর বিজ্ঞান বিষয়ের ২০ শতাংশ প্রার্থী নিয়োগ করা হবে।
স্নাতক পাশ ছাড়া নারীরাও পারবেনা প্রাথমিক শিক্ষক হতে।
এমন বিধান রেখে আগের বিধিমালা সংশোধন করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় স্করকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ,২০১৯ জারি করেছে।এতদিন এইচ এসসি পাশেই নারীরা আবেদন করতে পারতেন।প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আকরাম আলা হোসেন সাংবাদিকদের বলেন,শিক্ষক নিয়োগে এখন নারী-পুরুষ সবার যোগ্যতাই স্নাতক করা হয়েছে।প্রাথমিক শিক্ষদের নিয়োগ যোগ্যতা উন্নীত করা হয়েছে বলে তাদের বেতন গেড উন্নীত করনের কাজ চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি ।
সারা দেশে ৬৫ হাজার ৫৯৩ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আগের মতই সরাসরি পদোন্নতির মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে সংশোধিত বিধিমালায় ।সংশোধিত বিধিমালায় সহকারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষক নিয়োগে স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে দ্বিতীয় শ্রেণী বা সমমানের সিজিপিএ সহ স্নাতক বা স্নাতক সমমানের ডিগ্রি নির্ধারণ করা হয়েছে ।স্নাতক পাশে আবেদন নারী প্রার্থীদের ।প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নারীদের নূন্যতম যোগ্যতা স্নাতক।প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে নারী-পুরুষ উভয়ের যোগ্যতা স্নাতক।
আগে প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষক পদের নিয়োগ যোগ্যতা ছিল ২৫ থেকে ৩৫ বছর বয়স এবং সহকারী শিক্ষক পদের জন্য ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়স ।এখন প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক উভয় পদে আবেদনের যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়েছে ২১ থেকে ৩০ বছর ।
বিধিমালায় বলা হয়েছে ,সরাসরি নিয়োগযোগ্য পদের জন্য ৬০ শতাংশ মহিলা প্রার্থী,২০ শতাংশ পোষ্য এবং অবশিষ্ট ২০ শতাংশ পুরুষ প্রার্থী নেওয়া হবে তবে ২০ শতাংশ অবশ্যয় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক বা সমমান নিশ্চিত করতে হবে।
আরো জানা যায় যে,৬৫ হাজার হিসাবরক্ষক পদে নিয়োগ প্রধান করা হবে খুব শিগ্রয় ।সহকারী শিক্ষক হিসেবে কমপক্ষে ৭ বছর চাকরির অবিজ্ঞতা থাকলে প্রধান শিক্ষক পদে উন্নীত হওয়ার বিবেচনায় থাকবে। এছাড়া সহকারী শিক্ষক পদে সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে শিক্ষক বাছায় করা হবে।নতুন করে নিয়োগ হলে তা দেখতে চোখ রাখোন StudyNcareer.com এই ওয়েবসাইটে।
স্নাতক পাশ ছাড়া নারীরাও পারবেনা প্রাথমিক শিক্ষক হতে।
সূত্রঃ কালের কন্ঠ ।
প্রাথমিকের আবেদন যোগ্যতাঃ স্নাতকপাশ ।
বয়সের যোগ্যতা ঃ ২১ থেকে ৩০ বছর ।
স্বীদ্ধান্ত ঃ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ।
বেতন গ্রেড ঃ উন্নীত করন চলছে।
প্রাথমিকের পদোন্নতীঃ সহকারি শিক্ষক হতে ৭ বছরের অবিজ্ঞতা থাকলে প্রধান শিক্ষক পদের বিবেচনা হবে।
স্থানঃ সারা বাংলাদেশে একযোগে ।
শতকরা কোটা নির্ধারণঃ৬০% নারী,২০% পোষ্য,২০% পুরুষ,২০% অবশ্যয় বিজ্ঞান শাখা ।
নতুন নিয়োগঃ ৬৫ হাজার হিসাবরক্ষক পদের নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রস্তুতি চলছে ।
নতুন করে আবেদন ফরম পাবেন এই লিংকেঃ http://dpe.teletalk.com.bd
অনলাইনে আবেদন করতে এখানে ক্লিক
Click here to find out more