২০ থেকে ২৫ দিন বিসিএস এর জন্য পড়াশুনা করেও ৩৬ তম ক্যাডার হয়েছেন ।

২০ থেকে ২৫ দিনের প্রস্তুতীতেই  ৩৬ তম ক্যাডার হয়েছেন সুমন !

মাত্র ২০ থেকে ২৫ দিন বিসিএস এর জন্য পড়াশুনা ও প্রস্তুতি নিয়েও প্রথম বারেই  ৩৬ তম ক্যাডার হয়েছেন সুমন ।মাগুরা জেলার মাহমুদুল হাসান সুমন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের  ইংরেজি বিভাগের ছাত্র । তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করতেন দায়িত্য সহকারে । তিনি রেগুলার ক্লাস ও পড়াশুনা করতেন আবার সেই সাথে ফিজিক্স/ক্যামেস্ট্রি/ম্যাথ/ইংলিশ প্রতিটা বিষয়ের স্টুডেন্টদের টিউশনি করাতেন সেই কলেজ লেভেল থেকেই । মাহমুদুল হাসান সুমনের ইচ্ছে ছিল অনার্স শেষ করে ৩৭ তম বিসিএস এ যোগ দিবে কিন্তু কোন ভাবে সে ৩৬ তম তে নাম দিয়ে ফেলে যখন তার সামনে অনার্স পরীক্ষা ছিল। তিনি বরাবরি রেগুলার ও মেধাবী ছাত্র ছিলেন তাই মাস্টার্সের রেজাল্ট যাতে খারাপ না হয় সে দিকে বেশিই নজর দিলেন । এসবে তার বিসিএস এর জন্য প্রস্তুতী নেওয়ার সময় শেষের দিকে এসে পৌছে যায়। হাঁতে পায় মাত্র ২০ থেকে ২৫ দিন । তখন তিনি ধরেই নিয়েছিলেন এত অল্প সময়ে হয়তো ভাল প্রস্তুতি আর সফল হওয়া সম্ভব না। তবুও তিনি মনে আত্নবিশ্বাস হারালেন না আর হাল ও ছেড়ে দিলেন না ।কারন – মূলত সুমন স্যার সায়েন্স ব্যাকগ্রাউন্ডের ছিলেন  এইসএসসি পর্যন্ত ৷ তারপর ইংরেজিতে পড়েছে ৷ টানা ৬ বছর ম্যাথ সহ সায়েন্স এর বিষয়গুলো , ইংরেজি প্রাইভেট ও কোচিং এ ক্লাস নেওয়াতে ৫০ ভাগ বিসিএস প্রস্তুতি হয়ে ছিল অটোমেটিক ৷ অনার্স এপেয়ার্ড অবস্থায় আবেদন করে অনার্স ফাইনাল আর প্রিলি পরীক্ষার ২০-২৫ দিনের ব্যাবধান থাকে । রিটেনের সময় এম এ ১ম সেমিস্টার আর ভাইভার কাছাকাছি সময়ে এমএ ফাইনাল দেন ৷ ভার্সিটির দিকে বেশি সময় দিতেন , বাকি সময় এদিকে ৷ যেহেতু আগে থেকেই কিছু বিষয় তার  ক্লিয়ার ছিল তুলনামূলক কম সময়ে আল্লাহ তাকে  সফল করেছেন ৷ মূলত তার  প্রস্তুতি প্রতি পরীক্ষার আগে আনুষ্ঠানিক মাস খানিক হলেও দীর্ঘ ৬ বছর অনানুষ্ঠানিক পড়াশুনার ফল ৷মাত্র ২০ থেকে ২৫ দিন তিনি পড়াশুনা করেন বিভিন্ন গাইড বই গুলা ।পরীক্ষা দিলেন টিকেও গেলেন অবশেষ ভাইভাতে গিয়েও তাকে হারমানাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ,তিনি সফলতার সাথে ৩৬ তম বিসিএস ক্যাডার হয়ে গেলেন । তিনি নতুন প্রজন্মের জন্য শুধু এতটুকুই বলেছেন…আত্নবিশ্বাস হারিয়োনা তোমরা,ভয় পেয়না তোমরা ,কোন কিছুতেই হার মানবেনা কেউ , মনের জুর শক্তি কমে যেতে দিয়না ,সামনের সব কিছুকেই তুচ্ছ জ্ঞ্যান করে এগিয়ে যাবে সাহসিকতার সাথে ,যাই পড়বে আর যতটুকুই পড়বে মন দিয়ে পড়ার চেষ্টা করবে , পরিশ্রম করবে দেখবে জ্বয় তোমার নিশ্চিত।বীনা পরিশ্রমে কোন ভাল কিছু প্রাপ্তি হয়না ।অলসতা কে দূরে ঠেলে দিয়ে সাহসিকতার সাথে এগোলে শুধু ২০/২৫ দিনে নয় খুব অল্প সময়েও পরিশ্রমি প্রস্তুতিতেই একজন সফল ব্যক্তিত্ব হওয়া যায় ।আর পড়াশুনার শুরু থেকে মন দিয়ে সব পড়া উচিত এবং বিভিন্ন টিউশনি সহ বিভিন্ন কুচিং এ পড়ালে অনেক অভিজ্ঞতা ও নিজের পড়াশুনাও হয়ে যায় ।তাই স্টুডেন্ট লাইফে এগুলারো দরকার আছে। এমন অনেকে আছে যারা ভাবে বাবার অনেক টাকা আছে টিউশনি বাঁ কুচিংয়ে কষ্ট করে পড়াতে যাব কেন ? এসবে নিজের পড়াশুনার বরং ক্ষতি হবে —এই চিন্তা ধারনা একেবারেই ভুল সেটা নিশ্চয় সুমন স্যারের কথাতেই বুঝতে পেরেছেন ।